বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনের গাজায় গনহত্যার প্রতিবাদে নাসিক ১৯ নং ওয়ার্ডের তৌহিদি জনতার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

দেশজুড়ে সংবাদ ডেস্ক / ৭২ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ১৯ নং ওয়ার্ডের তৌহিদি জনতার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে

ফিরোজ খান-
ফিলিস্তিনের গাজায় অভিশপ্ত ইসরায়লী কর্তৃক গণহত্যার প্রতিবাদে ১১ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম্মা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১৯ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার
ঐতিহাসিক মদনগঞ্জ বটতলারা সামনে থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনটি লক্ষ্যারচর দক্ষিণপাড়া হয়ে সৈয়ালবাড়ি ঘাট, নমুনা বাজার, পিএমরোড, ইসলামপুর দিয়ে মদনগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর পাদদেশে যেয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জীবনে যেন মহাপ্রলয় নেমে এসেছে। গত ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্যাতন, হামলা ও দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছে। এই সহিংসতা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ২০২৩ সাল থেকে।
জাতিগতভাবে মুসলমানদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য এখন সেখানে প্রতি মুহূর মুহূর বোমাবর্ষণ চলছে, নিরিহ নিরস্র নারী পুরুষ এবং শিশুরাও রেহাই পাচ্ছেনা। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ, হাসপাতালসহ সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লাখ লাখ নিরপরাধ মানুষ নির্মমভাবে প্রাণ হারাচ্ছে, গোলার আঘাতে উড়ে যাচ্ছে দেহ।
১৯ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব ফয়সাল মো.সাগর বলেন, ৭৫ বছরের হত্যাযজ্ঞের পরে এবার ইসরায়েল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই ভূমিতে আর কোনও একজন মুসলমানকেও থাকতে দেওয়া হবে না, অথবা তাদেরকে হত্যা করতে হবে। ফিলিস্তিন নামক দেশকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। এ হৃদয়বিদারক, ন্যাক্কারজনক ও পৈশাচিক ঘটনার সাক্ষী সমগ্র বিশ্ব। এমন একটি পরিস্থিতিতেও গোটা মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলো, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলো নীরব। প্রতিবেশী আরব রাষ্ট্রগুলোও যেন চোখে কাঠের চশমা পরে আছে।
সমাজসেবক আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন (Msc] বলেন, এসব ঘটনার প্রতিবাদের আমরা বিক্ষিপ্তভাবে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা করছি, পণ্য বয়কট করছি। এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে—জাতির মধ্যে বিরাজিত সব ফেরকা, মাজহাব, দলাদলি এই মুহূর্ত থেকে বাদ দিয়ে আমাদেরকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই ঘোষণা দিতে হবে যে, আমরা আমাদের সামগ্রিক জীবনে আল্লাহ ছাড়া আর কারও দেওয়া জীবনব্যবস্থা, হুকুম মানবো না।
এছাড়াও বন্ধের থানা/উপজেলার সকল মসজিদে জুম্মার নামাজের খুতবায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..