পবিত্র ঈদুল আজহায় স্পেশাল ট্রেনে ছিল ষোল যাত্রী। ঈদুল আজহার আনন্দকে আরও বৃদ্ধি করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ট্রেন চালু করে। ময়মনসিংহ থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহে যাওয়া আসার জন্য ‘শোলাকিয়া স্পেশাল ট্রেন’ যাতায়াত করে।
শনিবার সকাল ৬টা ৪৫মিনিটে শোলাকিয়া স্পেশাল ট্রেন গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে শোলাকিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আবার দুপুর ১টা ৫০মিনিটের দিকে নিকট গৌরীপুর জংশনে ফিরে আসে এবং ২টা ১০মিনিটে গৌরীপুর থেকে ট্রেনটি ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাপ্পি চন্দ্র দাস।
ট্রেনটি ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যখন যায় তখন যাত্রী ছিল মাত্র ১৬ জন। এরমধ্যে গৌরীপুর জংশন থেকে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে উঠেছে ৯ জন। আর শোলাকিয়া থেকে ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন ৭ জন।
যাত্রী সংখ্যা কম প্রসঙ্গে শোলাকিয়া ঈদগায়ের নিয়মিত মুসল্লি ময়মনসিংহের মো. আসাদুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহায় কুরবানির ব্যবস্থা থাকায় যাত্রী কম হয় এবং এ সময় ট্রেন চলে মাত্র একটি। তবে ঈদুল ফিতরে দুটি ট্রেন চললেও সেই সময় মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। ট্রেনটি চালু করায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। নির্ধারিত সময়ে পৌঁছে এবং নির্ধারিত সময়ে ফিরছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, গৌরীপুর থেকে ট্রেনটি শোলাকিয়া যাওয়ার পথে টিকেট বিক্রি হয়েছে মাত্র তিনটি।
ট্রেনের আরেক যাত্রী মো. এমদাদুল হক বলেন, টিকেট ছাড়াও অনেকেই গেছে। সোহাগী, আঠারবাড়ি ও নান্দাইল অঞ্চল থেকে মুসুল্লির সংখ্যা বাড়ে। সে সময় প্রায় শতাধিক মুসল্লি ছিল।
কেওয়াটখালির সাইদুর রহমান বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য এটা বাড়তি পাওনা। আমরা লাখো মানুষের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ। যা সত্যিকার অর্থেই গর্বের। সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরতে পেরে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ট্রেনের পরিচালক আব্দুল মজিদ জানান, ঈদ স্পেশাল ট্রেনটিতে ৫টি কোচ নিয়ে তিনি শোলাকিয়া যান। আমি অবসরে চলে গিয়েছিলাম। দুই বছরের চুক্তিতে আবার ফিরে আসছি চাকরি জীবনে। আট বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়েছি। যাত্রীদের নিয়ে আসায় আনন্দ পাই- ভালো লাগে। এই নিয়ে তিনবার শোলাকিয়ায় ট্রেন নিয়ে গিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কুরবানির ঈদে যাত্রী কম হয়। তবে রোজার ঈদের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। তখন ট্রেনও বাড়ে, কোচ বাড়ে, যাত্রীও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
ঈদের দিনেও যাত্রীদের সেবা দিয়ে আনন্দ উপভোগ করেন ট্রেনের সহকারী চালক বাপন শীল। তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদেই যাত্রীদের সেবা দেই। চাকরির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের এ কাজে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...