সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণের শিকার জুলাই শহিদ কন্যার আত্মহত্যার

অনলাইন ডেস্ক / ৮৫ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীর দুমকিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার জুলাই শহিদ কন্যা লামিয়ার আত্মহত্যার খবরে পরিবারসহ পালিয়েছে সন্দেহভাজন কথিত প্রেমিক ইমরান মুন্সী ও তার পরিবার।

রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামে ইমরান মুন্সীর ঘরে গিয়ে তার পরিবারের কোনো সদস্যকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ সময় ইমরান মুন্সীর পাশের ঘরের ভাবি খাদিজা বেগমের সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় প্রতিনিধির।

তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই ইমরান আত্মগোপনে চলে যায়। ইমরানকে খুঁজতে বেশ কয়েকবার পুলিশ বাড়িতে এসেছিল। খাদিজা বেগম জানান, শনিবার রাতে তরুণীর আত্মহত্যার খবর শুনে ইমরানের বাবা মালেক মুন্সী ও মা রেমিজা বেগম তাদের ছোট্ট মেয়ে এমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। তবে তারা কোথায় গেছেন, আমরা তা জানি না।
মামলার আসামি সিফাত মুন্সীর বাবা সোহাগ মুন্সী বলেন, ইমরান মুন্সী যদি জড়িত না থাকত তাহলে এ ঘটনার পর কেন পালিয়ে থাকবে?

পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী মামলার এজাহারে সিফাত মুন্সী ও শাকিব মুন্সীকে আসামি করেছিলেন। সম্ভবত ওই তরুণীর সঙ্গে ইমরান মুন্সীর একটি সম্পর্ক ছিল। যে কারণে তরুণী মামলার এজাহারে ইমরান মুন্সীকে এড়িয়ে গেছেন। এ কারণে পুলিশ তাৎক্ষণিক ইমরান মুন্সীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ইমরান মুন্সীও জানতেন যে এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত, তাই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। তবে ইমরান মুন্সীকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..