রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

ডিএনসিসির গণশুনানিতে হট্টগোল-ধাক্কাধাক্কি

অনলাইন ডেস্ক / ৭৭ বার পঠিত
প্রকাশিত সময় : রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজিত নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে বিশিষ্ট নাগরিক ও নগরবাসীর সঙ্গে গণশুনানি ও মতবিনিময় সভা চলছিল মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে। এতে অংশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের এলাকার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে মশার উৎপাত, ফুটপাত বেদখল, স্ট্রিট লাইট সচল না থাকা, জলাবদ্ধতা, খাল উদ্ধার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, কিশোর গ্যাং, খেলার মাঠ ও সড়ক মুক্তকরণ ইত্যাদি। একপর্যায়ে চাঁদাবাজি নিয়ে স্থানীয় জামায়াত নেতারা বিএনপিকে নিয়ে অভিযোগ করেন। এতে করে গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল বেঁধে যায়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫ এর বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এ অবস্থায় গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, গণশুনানি একটি নাগরিক অধিকার। এখানে সব রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ নিজস্ব বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। এই ধরনের সহিংসতা আমাদের গণতান্ত্রিক চর্চাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।পরে গণশুনানিতে টিসিবি কার্ডের তালিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, পূর্বে তৈরি করা টিসিবি কার্ডের তালিকা নিয়ে সব জায়গা থেকে অভিযোগ পাচ্ছি। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি এগুলো যাচাই-বাছাই করে সঠিক তালিকা প্রণয়ন করার জন্য। নতুন তালিকা প্রণয়নে কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রভাব থাকতে পারবে না। সঠিক ব্যক্তিকে টিসিবি কার্ডের জন্য নির্বাচন করা হবে।

প্রশাসক বলেন, ফুটপাতে হকারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা জানি হকারদের এই কার্যক্রমের পেছনে চাঁদাবাজদের চক্র রয়েছে। চাঁদাবাজ চক্রে জড়িতদের বলছি আপনারা এসব বন্ধ করেন। হকারদের উচ্ছেদের জন্য চাঁদাবাজদেরও ধরা হবে।প্রশাসক আরও বলেন, অনেক জায়গায় লাইট নষ্ট হয়ে যাওয়ার তথ্য পাচ্ছি। ডিএনসিসির বিদ্যুৎ সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছি নষ্ট বাতিগুলো দ্রুত মেরামত করা হবে।রাস্তা ও ড্রেন খোঁড়াখুঁড়ির বিষয়ে এক নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক জানিয়েছেন, আগামী ৩০ মে তারিখের মধ্যে ডিএনসিসি এলাকার রাস্তা ও ফুটপাতের খোড়াখুড়ি মেরামত করা হবে। নতুন করে কোনো খোঁড়াখুঁড়ি করতে দেওয়া হবে না।

নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো ও পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয় না উল্লেখ করে এক নাগরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলেন। জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক জানান, নির্দিষ্ট এলাকার জন্য ঝাড়ুদার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের তালিকা প্রণয়ন করে সেটি ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। আপনাদের এলাকায় কাজ না করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন। দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ডিএনসিসির আওতাধীন ১০টি অঞ্চলের নগরবাসীর সমস্যার কথা জানতে গণশুনানির আয়োজন শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। গণশুনানিতে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ইতোমধ্যে অঞ্চল ১,২,৩, ৪ ও ৫ এর সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোত অনুষ্ঠিত হবে।

মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত গণশুনানিতে অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন স্কুল-কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, বাজার কমিটির সভাপতি,সাধারণ সম্পাদক ও নেতৃবৃন্দ, সোসাইটির নেতৃবৃন্দ, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য প্রদান করুন...


এ ক্যাটাগরীর আরো খবর..